Likes
234
per views
4.6%
Comments
15
per views
0.3%
Multi-national exercise for Air Force to find out the actual strength and weakness... মাল্টিন্যাশনাল এক্সারসাইজ বলতে দুই বা ততধিক দেশের সাথে যৌথ সামরিক মহড়াকে বুঝানো হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশই বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সাথে যৌথ বা মাল্টি-ন্যাশনাল সামরিক মহড়া অংশগ্রহন করে থাকে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এই দিক থেকে ব্যতিক্রম। বর্তমান যুগে বিমানবাহিনীর গুরুত্ব অনেক বেশি এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিমানবাহিনীই যে কোন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। তবে এই মোড় ঘুরানোর জন্য শত্রু দেশের বিমানবাহিনীর শক্তিমত্তা ও দূর্বলতা সম্পর্কে ধারনা থাকার পাশাপাশি নিজেদের বাহিনীর ক্যাপাবিলিটি, শক্তিমত্তা ও দূর্বলতা জানা অত্যাবশ্যক। আর এসব ধারনা পাওয়া যায় মহড়া এবং দিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক সামরিক মহড়ার মাধ্যমে।আর শুধুমাত্র লজিস্টিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে কখনো নিজস্ব ফাইটার বা চপার পাইলটদের যুদ্ধ ক্ষমতা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ২০০৯ এবং ২০১২ সালে সর্বশেষ যৌথ এরিয়াল কম্ব্যাট এক্সারসাইজ করেছিলো মার্কিন মেরিন কর্পসের সাথে। সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর F-7, MiG-29 ও A-5III যুদ্ধবিমান এবং ইউএস মেরিনের F/A-18 Hornet অংশ নিয়েছিলো। এরপর প্রায় ১০ বছর হয়ে গেলেও Exercise Cope South নামের লজিস্টিক্স এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্সারসাইজ ছাড়া আর কোন দেশের সাথে কম্ব্যাট এক্সারসাইজ করেনি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের সাথে কয়েকবার এরিয়াল কম্ব্যাট এক্সারসাইজ করে থাকে। এসব এক্সারসাইজের সুবিধা হলো পাইলটদের কনফিডেন্স বিল্ড আপ হয়, তারা বুঝতে পারে টেক্সবুক ম্যানুভারের বাইরের সিচুয়েশন আসলে কিভাবে হ্যান্ডেল করা সম্ভব, বিশ্বের সব দেশের ফাইটারের ক্যাপাবিলিটি এবং দক্ষতা সম্পর্কে ধারনা থাকা এবং সর্বশেষ কূটনৈতিক দিক থেকেও কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের উচিৎ এটলিস্ট প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও কম্ব্যাট এক্সারসাইজ শুরু করা। আমাদের সেরকম এসেট হয়তো নেই তবে যতটুকু আছে তাঁর সর্বোচ্চ ব্যবহারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। #DTB
More